• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা

  • ''
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে ধূসর বা রূপালী রঙের এসব অটোরিকশা। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে আশপাশের জেলার অটোও ঢুকছে অবাধে। ১৫ হাজার বৈধর সঙ্গে নগরে এখন অবৈধ সিএনজি ২২ হাজারের বেশি। পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে অবৈধ এই কারবার।

রাজধানীতে ধূসর সিএনজি অটো আছে প্রায় চার হাজার। যার বেশির ভাগের মালিক ট্রাফিক বা পুলিশ সদস্য। ফলে ব্যক্তিগত যান অবলীলায় হয়ে যাচ্ছে ভাড়ায়চালিত।

রাজধানীর কাওরান বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা গেল বেশির ভাগ অটোরিকশাই ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রেশন করা। শুধু তাই না, রাজধানীতে অন্য জেলার অটোও চলছে অবাধে। অথচ মহানগরে বাইরের যান চলার কথা নয়।

রাজধানীতে অবৈধ সিএনজিচালিত অটো রয়েছে ২০ হাজারের বেশি। যেখানে বৈধর সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। এরমধ্যে অনেকগুলোর আবার বৈধ কাগজ নেই। বলতে গেলে অবৈধদের ভিড়ে বৈধরাই এখন কোণঠাঁসা।

চালক ও মালিকদের অভিযোগ, অবৈধ অটোর বড় অংশের মালিক ট্রাফিক পুলিশ। তাই তারা থাকেন নির্ঝঞ্ঝাট।

ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি হাজী বরকতুল্লাহ বুলু বলেন, প্রাইভেট সিএনজির ৮৫ শতাংশই ট্রাফিক পুলিশের মালিকানায়। এই গাড়িগুলো দাপটের সঙ্গে চলে। অথচ, বৈধ গাড়িগুলো মোড়ে মোড়ে চেক করে।

রাজধানীতে হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও তা জানা নেই ট্রাফিক বিভাগের কর্তাদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, সাদা প্রাইভেট সিএনজিগুলো কমার্শিয়ালি চলার কোনো অনুমতি নেই। কেউ ধরা পড়লে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যদের যোগসাজোস ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই সরকারে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশের প্রতিটি জেলায় অটোরিকশার ভিন্ন রং থাকলেও ব্যতিক্রম কেবল রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলো। এখানে সব সবুজ মিলেমিশে একাকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads